http://bangla.bdjobs.com/linksGha.asp
জীবন বাঁচানোর জন্য জীবিকা হিসাবে মানুষ কোন না কোন কাজ করে থাকে। এই কাজ করার মাধ্যমেই মানুষ কোন একটি বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে জীবিকার পথ হিসেবে তা বেছে নেয়। জীবিকার পথ হিসেবে মানুষ যে পন্থাকে বেছে নেয় তাই মূলত তার ক্যারিয়ার যেমন একজন ডাক্তার তার জীবিকা হিসেবে ডাক্তারি করে থাকেন। এখানে ডাক্তারি করাটাকে তিনি ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছেন। আর এজন্য তিনি কোন হাসপাতালে কাজ করেন। সুতরাং আরেকটি বিষয় এখানে চলে আসে যে, কাজ করা আর ক্যারিয়ার এ দুটি বিষয় পরষ্পর সম্পর্ক যুক্ত হলেও একই বিষয় নয়। মূলত মানুষ তার ক্যারিয়ার ঠিক করতে বা লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে।
আরও একটি উদাহরণ দিয়ে বলা যায়- একজন ছাত্র কোন একটি সাধারন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন বা স্নাতক করার পর হয়ত কোন প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি নিলেন। কিন্ত এ সময়ে তার ক্যারিয়ার কে মার্কেটিং বলাটা ঠিক হবে না। কারণ এক বছর পর তিনি হয়তো অন্য একটি কোম্পানীতে সেলস বা বিক্রয় বিভাগে অথবা হিসাবরক্ষণ বিভাগে চাকরি নিলেন। এভাবে কয়েক বছর কাজ করার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে তিনি কোন বিভাগে নিজেকে দক্ষ করবেন এবং পরবর্তীকালে সে বিষয়েই নিজের ক্যারিয়ার তৈরী করবেন বা সে বিষয়েই উচ্চপদ গ্রহণ করবেন। এ সময়ে তিনি তার ক্যারিয়ারের একটি প্রথম এবং প্রধান ধাপ অতিক্রম করবেন। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, ক্যারিয়ারের জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করতে হয়। এ অবস্থায় পরবর্তীকালে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন পন্থা বা বিষয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়া যেতে পারে।
এ সিদ্ধান্ত নেয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা। একজন ব্যক্তি যত শুরু থেকে তার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন তিনি তত তাড়াতাড়ি সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য যে বিষয়টি দরকার তা হলো, সাফল্য সম্পর্কে ধারণা থাকা।
সাফল্য অর্জনে কী গুণাবলী থাকা উচিত:
o সাধারণ জ্ঞান
o নিজ বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান
o আত্মপ্রত্যয়
o বুদ্ধিমত্তা
o কাজ করার দক্ষতা
o নেতৃত্ব
o ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার দক্ষতা
o সৃজনশীলতা
o আত্মবিশ্বাস
o যথাযথ বাচনভঙ্গি
o অন্যের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থাকা
o ভাগ্য
o উপরোক্ত গুণাবলী যারা অর্জন করেছেন তারাই সাফল্য লাভ করে থাকেন।
এই গুণগুল জন্মসূত্রে না থাকলেও কাজের মাধ্যমে অর্জন সম্ভব।
নিজেকে জানুন, দেখুন তো আপনার মধ্যে এই গুণসমূহ আছে কিনা:
o সহমর্মিতা
o হাস্যরস
o সৌজন্যবোধ
o বিশ্বাস অর্জন- এর দক্ষতা
ক্যারিয়ার পরিকল্পনা- এর জন্য অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। এজন্য যা করবেন:
o আপনার লক্ষ্যগুলি ঠিক করবেন
o লক্ষ্যগুলি কাগজে লিখবেন
o লক্ষ্যগুলি সুনির্দিষ্ট হতে হবে
o লক্ষ্যগুলি গুরুত্ব অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ করতে হবে
o প্রতিদিন লক্ষ্যগুলি স্মরণ করতে হবে
লক্ষ্য ঠিক করার জন্য S M A R T টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে। এখানে তার ব্যাখ্যা দেয়া হল:
S = Specific বা সুনির্দিষ্ট
M = Measurable বা পরিমাপযোগ্য
A = Achievable বা অর্জনযোগ্য
R = Realistic বা বাস্তবধর্মী
T = Timeframe বা সময়কাঠামো
সাফল্যের জন্য আরও যা জানতে হবে:
SEE Factors
S = Smile বা হাস্যময়
E = Eye Contact বা মনযোগ
E = Enthusiasm বা উদ্যোগ
আরও ৮ টি নির্দেশনা হল:
¤ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
¤ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা
¤ সময়ানুবর্তী হওয়া
¤ প্রস্তত থাকা
¤ নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা
¤ নিয়ন্ত্রণে রাখা
¤ সঠিকভাবে কাজ করা
¤ পরিপূর্ণভাবে কাজ সম্পন্ন করা
ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এবং সাফল্যের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সময় ব্যবস্থাপনা। আপনাকে অবশ্যই সময় ব্যবস্থাপনা জানতে হবে। এর জন্য যা করতে হবে:
¤ আপনার প্রতিদিনের কাজগুলো লিপিবদ্ধ করুন
¤ প্রতিটি কাজে এখন আপনি গড়ে কত সময় ব্যয় করছেন তা নিরূপণ/ ঠিক করুন
¤ প্রতিটি কাজে গড়ে কতটুকু সময় প্রয়োজন তা বের করুন
¤ প্রতিটি কাজে গড়ে আপনি কতটুকু সময় অতিরিক্ত ব্যয় করেন তা বের করুন
¤ এখন সিদ্ধান্ত নিন কীভাবে আপনি আপনার সময় ব্যয় করবেন?
সময় ব্যবস্থাপনা আপনার জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে, যদি আপনি সঠিকভাবে তা প্রয়োগ করতে পারেন। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে আগামীকাল আপনার করণীয় কাজগুলি একটি কাগজে লিপিবদ্ধ করুন এবং তারপাশে কোন সময়ে তা করবেন তা লিখুন। আপনার হাতের অতিরিক্ত সময় অন্য কোন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করুন।
ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কাজের চাপের ব্যবস্থাপনা। আমাদের দেশে এ বিষয়টিকে খুব কম গুরুত্ব দেয়া হয়। আপনি যদি চাপ কমাতে না পারেন, তবে তা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আমরা অনেক নেতিবাচক পরিবেশের মধ্যে বড় হচ্ছি, এর ফলে কাজের চাপ ব্যবস্থাপনা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। চাপ কমানো ও ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের যা করতে হবে:
¤ নিজের উপর বিশ্বাস রাখা
¤ নেতিবাচক লোকদের এড়িয়ে চলা
¤ সবকিছু সহজে গ্রহণ করা
¤ মাথা ঠান্ডা রাখা
¤ সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা
¤ নেতিবাচক বিষয়কে ইতিবাচকভাবে দেখা
মেডিটেশন অনেক সময় আমাদের চাপ কমাতে পারে, তাই মেডিটেশন করা যেতে পারে। বাংলাদেশে এখন এর ব্যাপক চর্চা হচ্ছে।
উপরোক্ত বিষয়গুলির প্রতি মনোযোগী হলে আপনি সহজেই আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন। কারণ ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এর জন্য আপনাকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি অন্য কারো কাছ থেকে উপদেশ নিলেও নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবেন। কখনো অন্য কারো সিদ্ধান্ত যেন-আপনার ওপর চাপিয়ে না দেয়া হয়।
একটি ভাল ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই দক্ষতার উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্ত দক্ষতা বিষয়টি অনেক ব্যাপক এবং একটি দক্ষতা, একটি দক্ষতার উপর নির্ভরশীল। আপনি শুধু একটি বা দুইটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে সাফল্য লাভ করবেন, এটা মনে করা ঠিক না। সাফল্য লাভ করার জন্য যত বেশী দক্ষতা অর্জন করা যায় ততই একটি সুন্দর ও সফল ক্যারিয়ার এর দিকে আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন।
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, কোন কোন দক্ষতা অবশ্যই উন্নয়ন করা প্রয়োজন। যে দক্ষতাগুলি অবশ্যই উন্নয়ন করতে হবে তা হল:
¤ আইটি
¤ কমিউনিকেশন
¤ ব্যবস্থাপনা
কমিউনিকেশন দক্ষতা: আপনি কিভাবে অন্য একজন ব্যক্তির কাছে সুন্দরভাবে আপনাকে উপস্থাপনা করতে পারছেন, তাই হল আপনার কমিউনিকেশন দক্ষতা। অর্থাৎ আপনার কথা-বার্তা, আচার-ব্যবহার এর মাধ্যমে আপনি আপনাকে কতটা আকর্ষণীয় করে তুলবেন অন্যদের কাছে।
¤ কমিউনিকেশন দক্ষতায় দক্ষ হতে হলে আপনাকে নিন্মোক্ত বিষয় গুলি চর্চা করতে হবে। যেমন- আপনার সাধারন জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করবেন সব সময়।
¤ আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে এবং বাচনভঙ্গির উন্নতি সাধন করার চেষ্টা করবেন। বাচনভঙ্গির উন্নয়নের জন্য উপস্থিত বক্তৃতা বা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করা উচিত নিয়মিতভাবে। এমনকি বন্ধু-বান্ধব মিলে এই কাজটি করতে পারেন নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য।
¤ পোষাক- পরিচ্ছদের ব্যপারে যত্নবান হউন এবং যা আপনাকে মানায় এবং অন্যরা পছন্দ করে তা পরিধান করুন
¤ আপনার বিভিন্ন মুদ্রাদোষ পরিহার করুন এবং হাতের নখ, চুলের খুশকি এবং অন্যান্য রোগ-জীবানু সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।
¤ আয়নার সামনে অথবা বন্ধুদের সাথে কথা বলা চর্চা করুন এবং আঞ্চলিকতা যতটা পারুন পরিহার করুন।
ব্যবস্থাপনা দক্ষতা:
আপনার ক্যারিয়ার কে সুন্দর করতে ব্যবস্থাপনা দক্ষতায় আপনার দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। ব্যবস্থাপনা দক্ষতায় আপনি দক্ষতা দেখাতে পারলে আপনি সহজে অন্যদের চোখে পড়বেন এবং আপনি ধীরে ধীরে ক্যারিয়ারের শীর্ষে পৌঁছাতে পারবেন। ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আপনাকে যা করতে হবে, তা হল:
¤ আপনাকে নেতৃত্বের গুনাবলী চর্চা করতে হবে। নেতা ভাবলেই নেতা হওয়া যায় না। তবে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং নেতৃত্ব দেবার মানসিকতা থাকতে হবে।
¤ যে কোন কাজ হাতে নিলে তা সুন্দর ভাবে শেষ করার মানসিকতা থাকতে হবে। মাঝ পথে কোন কাজ যদি কঠিন মনে করে ছেড়ে দেন, তাহলে বুঝবেন আপনার মধ্যে ব্যবস্থাপনা দক্ষতার অভাব রয়েছে। কোন কাজ কঠিন মনে হলে চিন্তা করে বের করবেন কিভাবে তা অন্য উপায়ে সম্পন্ন করা যায়। কারা আপনাকে এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারে ইত্যাদি।
¤ ব্যবস্থাপনা দক্ষতার অন্যতম একটি প্রধান বিষয় হল সময় ব্যবস্থাপনা। এর পাশাপাশি মানুষের বিশ্বাস অর্জন করাও একটি ব্যবস্থাপনা দক্ষতা। আপনার সৌজন্যবোধ আপনাকে বিশ্বাস অর্জনে সহায়তা করবে।
¤ ভুল থেকে সঠিকটা শিক্ষা নেবার দক্ষতা থাকতে হবে। তার সাথে সাথে হাস্যরস বোধ আপনাকে একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।
আইটি দক্ষতা:
বর্তমান সময় আপনি যদি কম্পিউটার না জানেন, তাহলে আপনাকে শিক্ষিত বলা যাবে না। শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি। আবার তার মানে আপনি কম্পিউটারে উচ্চশিক্ষিত হবেন তা নয়। আইটি দক্ষতা বলতে বোঝায় কম্পিউটার ব্যবহার করে চিঠি বা কোন ডকুমেন্ট লিখতে, সুন্দরভাবে প্রিন্ট করা জানতে হবে। জানতে হবে কীভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করে আপনি ডাটা ম্যানেজমেন্ট করতে পারেন। কম্পিউটার ব্যবহার করে কীভাবে একটি প্রেজেন্টেশন করতে পারেন। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারও ভালভাবে জানতে হবে। এর পাশাপাশি যদি কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার ও মেইনট্যানেন্স জানা থাকে তবে আপনি আইটি দক্ষতার প্রধান ধাপগুলো পূর্ণ করবেন।
সর্বশেষ বলা যায়, ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য আপনি ওপরে উল্লেখিত দক্ষতাগুলির যতগুলি আয়ত্ব করতে পারবেন, আপনার সম্ভাবনা ততই উজ্জল হবে।
ক্যারিয়ার প্লানিং এর এই ভুলগুলো পরিহার করুন:
¤ আপনি যা ভাল পারেন তার সাথে আপনার পছন্দের পার্থক্য সৃষ্টি করা:
অনেকেই বলে আপনার গলা ভাল তাই বলে আপনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন যে আপনি সারা জীবন আচার অনুষ্ঠানে গান গেয়ে কাটিয়ে দিবেন। এ সিদ্ধান্ত আপনার জন্য ভুল হতে পারে, যদি না আপনি এটা বিচার করেন যে পেশা হিসাবে গান গাওয়াটা উপভোগ করতে পারবেন কিনা। আপনি কোন ব্যপারে ভাল তার আগে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কি করতে পছন্দ করেন। আপনি যা করতে পছন্দ করেন তাতে আপনি যথেষ্ট দক্ষ না হলেও পরিশ্রম ও সাধনার বলে আপনি তা অর্জন করতে পারেন।
¤ শখের সাথে পেশার পার্থক্য না করা
আপনি হয়ত দৌড়ানো, আইন, বইপড়া, এবং ঝুড়ি বানানো পছন্দ করেন। আপনি হয়ত ভাবছেন-এসবগুলো ক্ষেক্রকে একটি পেশায় আনা যায় কিনা। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই। আপনার এরকম কিছু করতে হবে না। কোন একটি সাধারন পেশা আপনার সবগুলা শখ মেটাবে এরকম ভেবে বসাটা একটা বড় রকমের ভুল। মনে রাখবেন এর অর্থ এই নয় যে আপনি আপনার পেশাকে পছন্দ করছেন না। আপনি আসলে পেশার উপর আপনার শখকে গুরুত্ব দিচ্ছেন
¤ পেশার একটি দিকের সাথে অবস্থার সামগ্রিক পাথর্ক্য না করা
অনেক সময় কেউ কেউ কোন পেশা স্থির করার সময় এমন ভেবে বসেন যে তারা তেমন কিছু না করেই তা হয়ে যেতে পারবেন। যেমন-কেউ লিখতে পছন্দ করেন। লেখালেখির পেশার সুযোগগুলো না দেখেই ভেবে নিন যে একজন লেখক হয়ে যাবেন এটা ভুল। এমনও হতে পারে কেবল উপন্যাসিক, সাংবাদিক ও কপিরাইটারের মত লেখক হতে চাইছেন যখন এর স্থলে তিনি একজন মন্ত্রী, জনসংযোগ- সহকারী,সম্পাদক অথবা সরকারী লবিকারী হওয়ার চিন্তা করতে পারতেন।
জীবন বাঁচানোর জন্য জীবিকা হিসাবে মানুষ কোন না কোন কাজ করে থাকে। এই কাজ করার মাধ্যমেই মানুষ কোন একটি বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে জীবিকার পথ হিসেবে তা বেছে নেয়। জীবিকার পথ হিসেবে মানুষ যে পন্থাকে বেছে নেয় তাই মূলত তার ক্যারিয়ার যেমন একজন ডাক্তার তার জীবিকা হিসেবে ডাক্তারি করে থাকেন। এখানে ডাক্তারি করাটাকে তিনি ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছেন। আর এজন্য তিনি কোন হাসপাতালে কাজ করেন। সুতরাং আরেকটি বিষয় এখানে চলে আসে যে, কাজ করা আর ক্যারিয়ার এ দুটি বিষয় পরষ্পর সম্পর্ক যুক্ত হলেও একই বিষয় নয়। মূলত মানুষ তার ক্যারিয়ার ঠিক করতে বা লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে।
আরও একটি উদাহরণ দিয়ে বলা যায়- একজন ছাত্র কোন একটি সাধারন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন বা স্নাতক করার পর হয়ত কোন প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি নিলেন। কিন্ত এ সময়ে তার ক্যারিয়ার কে মার্কেটিং বলাটা ঠিক হবে না। কারণ এক বছর পর তিনি হয়তো অন্য একটি কোম্পানীতে সেলস বা বিক্রয় বিভাগে অথবা হিসাবরক্ষণ বিভাগে চাকরি নিলেন। এভাবে কয়েক বছর কাজ করার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে তিনি কোন বিভাগে নিজেকে দক্ষ করবেন এবং পরবর্তীকালে সে বিষয়েই নিজের ক্যারিয়ার তৈরী করবেন বা সে বিষয়েই উচ্চপদ গ্রহণ করবেন। এ সময়ে তিনি তার ক্যারিয়ারের একটি প্রথম এবং প্রধান ধাপ অতিক্রম করবেন। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, ক্যারিয়ারের জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করতে হয়। এ অবস্থায় পরবর্তীকালে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন পন্থা বা বিষয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়া যেতে পারে।
এ সিদ্ধান্ত নেয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা। একজন ব্যক্তি যত শুরু থেকে তার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন তিনি তত তাড়াতাড়ি সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য যে বিষয়টি দরকার তা হলো, সাফল্য সম্পর্কে ধারণা থাকা।
সাফল্য অর্জনে কী গুণাবলী থাকা উচিত:
o সাধারণ জ্ঞান
o নিজ বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান
o আত্মপ্রত্যয়
o বুদ্ধিমত্তা
o কাজ করার দক্ষতা
o নেতৃত্ব
o ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার দক্ষতা
o সৃজনশীলতা
o আত্মবিশ্বাস
o যথাযথ বাচনভঙ্গি
o অন্যের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থাকা
o ভাগ্য
o উপরোক্ত গুণাবলী যারা অর্জন করেছেন তারাই সাফল্য লাভ করে থাকেন।
এই গুণগুল জন্মসূত্রে না থাকলেও কাজের মাধ্যমে অর্জন সম্ভব।
নিজেকে জানুন, দেখুন তো আপনার মধ্যে এই গুণসমূহ আছে কিনা:
o সহমর্মিতা
o হাস্যরস
o সৌজন্যবোধ
o বিশ্বাস অর্জন- এর দক্ষতা
ক্যারিয়ার পরিকল্পনা- এর জন্য অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। এজন্য যা করবেন:
o আপনার লক্ষ্যগুলি ঠিক করবেন
o লক্ষ্যগুলি কাগজে লিখবেন
o লক্ষ্যগুলি সুনির্দিষ্ট হতে হবে
o লক্ষ্যগুলি গুরুত্ব অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ করতে হবে
o প্রতিদিন লক্ষ্যগুলি স্মরণ করতে হবে
লক্ষ্য ঠিক করার জন্য S M A R T টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে। এখানে তার ব্যাখ্যা দেয়া হল:
S = Specific বা সুনির্দিষ্ট
M = Measurable বা পরিমাপযোগ্য
A = Achievable বা অর্জনযোগ্য
R = Realistic বা বাস্তবধর্মী
T = Timeframe বা সময়কাঠামো
সাফল্যের জন্য আরও যা জানতে হবে:
SEE Factors
S = Smile বা হাস্যময়
E = Eye Contact বা মনযোগ
E = Enthusiasm বা উদ্যোগ
আরও ৮ টি নির্দেশনা হল:
¤ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
¤ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা
¤ সময়ানুবর্তী হওয়া
¤ প্রস্তত থাকা
¤ নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা
¤ নিয়ন্ত্রণে রাখা
¤ সঠিকভাবে কাজ করা
¤ পরিপূর্ণভাবে কাজ সম্পন্ন করা
ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এবং সাফল্যের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সময় ব্যবস্থাপনা। আপনাকে অবশ্যই সময় ব্যবস্থাপনা জানতে হবে। এর জন্য যা করতে হবে:
¤ আপনার প্রতিদিনের কাজগুলো লিপিবদ্ধ করুন
¤ প্রতিটি কাজে এখন আপনি গড়ে কত সময় ব্যয় করছেন তা নিরূপণ/ ঠিক করুন
¤ প্রতিটি কাজে গড়ে কতটুকু সময় প্রয়োজন তা বের করুন
¤ প্রতিটি কাজে গড়ে আপনি কতটুকু সময় অতিরিক্ত ব্যয় করেন তা বের করুন
¤ এখন সিদ্ধান্ত নিন কীভাবে আপনি আপনার সময় ব্যয় করবেন?
সময় ব্যবস্থাপনা আপনার জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে, যদি আপনি সঠিকভাবে তা প্রয়োগ করতে পারেন। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে আগামীকাল আপনার করণীয় কাজগুলি একটি কাগজে লিপিবদ্ধ করুন এবং তারপাশে কোন সময়ে তা করবেন তা লিখুন। আপনার হাতের অতিরিক্ত সময় অন্য কোন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করুন।
ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কাজের চাপের ব্যবস্থাপনা। আমাদের দেশে এ বিষয়টিকে খুব কম গুরুত্ব দেয়া হয়। আপনি যদি চাপ কমাতে না পারেন, তবে তা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আমরা অনেক নেতিবাচক পরিবেশের মধ্যে বড় হচ্ছি, এর ফলে কাজের চাপ ব্যবস্থাপনা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। চাপ কমানো ও ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের যা করতে হবে:
¤ নিজের উপর বিশ্বাস রাখা
¤ নেতিবাচক লোকদের এড়িয়ে চলা
¤ সবকিছু সহজে গ্রহণ করা
¤ মাথা ঠান্ডা রাখা
¤ সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা
¤ নেতিবাচক বিষয়কে ইতিবাচকভাবে দেখা
মেডিটেশন অনেক সময় আমাদের চাপ কমাতে পারে, তাই মেডিটেশন করা যেতে পারে। বাংলাদেশে এখন এর ব্যাপক চর্চা হচ্ছে।
উপরোক্ত বিষয়গুলির প্রতি মনোযোগী হলে আপনি সহজেই আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন। কারণ ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এর জন্য আপনাকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি অন্য কারো কাছ থেকে উপদেশ নিলেও নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবেন। কখনো অন্য কারো সিদ্ধান্ত যেন-আপনার ওপর চাপিয়ে না দেয়া হয়।
একটি ভাল ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই দক্ষতার উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্ত দক্ষতা বিষয়টি অনেক ব্যাপক এবং একটি দক্ষতা, একটি দক্ষতার উপর নির্ভরশীল। আপনি শুধু একটি বা দুইটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে সাফল্য লাভ করবেন, এটা মনে করা ঠিক না। সাফল্য লাভ করার জন্য যত বেশী দক্ষতা অর্জন করা যায় ততই একটি সুন্দর ও সফল ক্যারিয়ার এর দিকে আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন।
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, কোন কোন দক্ষতা অবশ্যই উন্নয়ন করা প্রয়োজন। যে দক্ষতাগুলি অবশ্যই উন্নয়ন করতে হবে তা হল:
¤ আইটি
¤ কমিউনিকেশন
¤ ব্যবস্থাপনা
কমিউনিকেশন দক্ষতা: আপনি কিভাবে অন্য একজন ব্যক্তির কাছে সুন্দরভাবে আপনাকে উপস্থাপনা করতে পারছেন, তাই হল আপনার কমিউনিকেশন দক্ষতা। অর্থাৎ আপনার কথা-বার্তা, আচার-ব্যবহার এর মাধ্যমে আপনি আপনাকে কতটা আকর্ষণীয় করে তুলবেন অন্যদের কাছে।
¤ কমিউনিকেশন দক্ষতায় দক্ষ হতে হলে আপনাকে নিন্মোক্ত বিষয় গুলি চর্চা করতে হবে। যেমন- আপনার সাধারন জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করবেন সব সময়।
¤ আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে এবং বাচনভঙ্গির উন্নতি সাধন করার চেষ্টা করবেন। বাচনভঙ্গির উন্নয়নের জন্য উপস্থিত বক্তৃতা বা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করা উচিত নিয়মিতভাবে। এমনকি বন্ধু-বান্ধব মিলে এই কাজটি করতে পারেন নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য।
¤ পোষাক- পরিচ্ছদের ব্যপারে যত্নবান হউন এবং যা আপনাকে মানায় এবং অন্যরা পছন্দ করে তা পরিধান করুন
¤ আপনার বিভিন্ন মুদ্রাদোষ পরিহার করুন এবং হাতের নখ, চুলের খুশকি এবং অন্যান্য রোগ-জীবানু সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।
¤ আয়নার সামনে অথবা বন্ধুদের সাথে কথা বলা চর্চা করুন এবং আঞ্চলিকতা যতটা পারুন পরিহার করুন।
ব্যবস্থাপনা দক্ষতা:
আপনার ক্যারিয়ার কে সুন্দর করতে ব্যবস্থাপনা দক্ষতায় আপনার দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। ব্যবস্থাপনা দক্ষতায় আপনি দক্ষতা দেখাতে পারলে আপনি সহজে অন্যদের চোখে পড়বেন এবং আপনি ধীরে ধীরে ক্যারিয়ারের শীর্ষে পৌঁছাতে পারবেন। ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আপনাকে যা করতে হবে, তা হল:
¤ আপনাকে নেতৃত্বের গুনাবলী চর্চা করতে হবে। নেতা ভাবলেই নেতা হওয়া যায় না। তবে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং নেতৃত্ব দেবার মানসিকতা থাকতে হবে।
¤ যে কোন কাজ হাতে নিলে তা সুন্দর ভাবে শেষ করার মানসিকতা থাকতে হবে। মাঝ পথে কোন কাজ যদি কঠিন মনে করে ছেড়ে দেন, তাহলে বুঝবেন আপনার মধ্যে ব্যবস্থাপনা দক্ষতার অভাব রয়েছে। কোন কাজ কঠিন মনে হলে চিন্তা করে বের করবেন কিভাবে তা অন্য উপায়ে সম্পন্ন করা যায়। কারা আপনাকে এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারে ইত্যাদি।
¤ ব্যবস্থাপনা দক্ষতার অন্যতম একটি প্রধান বিষয় হল সময় ব্যবস্থাপনা। এর পাশাপাশি মানুষের বিশ্বাস অর্জন করাও একটি ব্যবস্থাপনা দক্ষতা। আপনার সৌজন্যবোধ আপনাকে বিশ্বাস অর্জনে সহায়তা করবে।
¤ ভুল থেকে সঠিকটা শিক্ষা নেবার দক্ষতা থাকতে হবে। তার সাথে সাথে হাস্যরস বোধ আপনাকে একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।
আইটি দক্ষতা:
বর্তমান সময় আপনি যদি কম্পিউটার না জানেন, তাহলে আপনাকে শিক্ষিত বলা যাবে না। শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি। আবার তার মানে আপনি কম্পিউটারে উচ্চশিক্ষিত হবেন তা নয়। আইটি দক্ষতা বলতে বোঝায় কম্পিউটার ব্যবহার করে চিঠি বা কোন ডকুমেন্ট লিখতে, সুন্দরভাবে প্রিন্ট করা জানতে হবে। জানতে হবে কীভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করে আপনি ডাটা ম্যানেজমেন্ট করতে পারেন। কম্পিউটার ব্যবহার করে কীভাবে একটি প্রেজেন্টেশন করতে পারেন। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারও ভালভাবে জানতে হবে। এর পাশাপাশি যদি কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার ও মেইনট্যানেন্স জানা থাকে তবে আপনি আইটি দক্ষতার প্রধান ধাপগুলো পূর্ণ করবেন।
সর্বশেষ বলা যায়, ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য আপনি ওপরে উল্লেখিত দক্ষতাগুলির যতগুলি আয়ত্ব করতে পারবেন, আপনার সম্ভাবনা ততই উজ্জল হবে।
ক্যারিয়ার প্লানিং এর এই ভুলগুলো পরিহার করুন:
¤ আপনি যা ভাল পারেন তার সাথে আপনার পছন্দের পার্থক্য সৃষ্টি করা:
অনেকেই বলে আপনার গলা ভাল তাই বলে আপনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন যে আপনি সারা জীবন আচার অনুষ্ঠানে গান গেয়ে কাটিয়ে দিবেন। এ সিদ্ধান্ত আপনার জন্য ভুল হতে পারে, যদি না আপনি এটা বিচার করেন যে পেশা হিসাবে গান গাওয়াটা উপভোগ করতে পারবেন কিনা। আপনি কোন ব্যপারে ভাল তার আগে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কি করতে পছন্দ করেন। আপনি যা করতে পছন্দ করেন তাতে আপনি যথেষ্ট দক্ষ না হলেও পরিশ্রম ও সাধনার বলে আপনি তা অর্জন করতে পারেন।
¤ শখের সাথে পেশার পার্থক্য না করা
আপনি হয়ত দৌড়ানো, আইন, বইপড়া, এবং ঝুড়ি বানানো পছন্দ করেন। আপনি হয়ত ভাবছেন-এসবগুলো ক্ষেক্রকে একটি পেশায় আনা যায় কিনা। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই। আপনার এরকম কিছু করতে হবে না। কোন একটি সাধারন পেশা আপনার সবগুলা শখ মেটাবে এরকম ভেবে বসাটা একটা বড় রকমের ভুল। মনে রাখবেন এর অর্থ এই নয় যে আপনি আপনার পেশাকে পছন্দ করছেন না। আপনি আসলে পেশার উপর আপনার শখকে গুরুত্ব দিচ্ছেন
¤ পেশার একটি দিকের সাথে অবস্থার সামগ্রিক পাথর্ক্য না করা
অনেক সময় কেউ কেউ কোন পেশা স্থির করার সময় এমন ভেবে বসেন যে তারা তেমন কিছু না করেই তা হয়ে যেতে পারবেন। যেমন-কেউ লিখতে পছন্দ করেন। লেখালেখির পেশার সুযোগগুলো না দেখেই ভেবে নিন যে একজন লেখক হয়ে যাবেন এটা ভুল। এমনও হতে পারে কেবল উপন্যাসিক, সাংবাদিক ও কপিরাইটারের মত লেখক হতে চাইছেন যখন এর স্থলে তিনি একজন মন্ত্রী, জনসংযোগ- সহকারী,সম্পাদক অথবা সরকারী লবিকারী হওয়ার চিন্তা করতে পারতেন।